![](https://dailykolomkotha.com/wp-content/uploads/2022/02/women.jpg)
ছবি-নিউ ইয়র্ক টাইমস
ছবি-নিউ ইয়র্ক টাইমস
ভীত, একাকী আর ভারাক্রান্ত গাসকিনস কখনও কখনও ক্লাসরুমেই ঘুমিয়ে পড়তেন। নয়ত নিজের শোবার ঘরে পর্দা টেনে দিয়ে আলো নিভিয়ে পড়ে থাকতেন।
“আমার মনে হত আমাকে কবর দেওয়া হয়েছে। আমি বুঝতেও পারছিলাম না যে আমি অবসাদে ভুগছি…, বলেন তিনি।
ক্রিসটি গাসকিনস এখন ৩৭ বছর বয়সী একজন সাংবাদিক। তিনি বলেন, “আজ আমি বুঝতে পারি, ওই সময়ে আমি আসলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম।”
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে একজন শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসকের কাছে দুবার দেখিয়েও সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি বলে ক্ষেপে উঠেছিলেন গাসকিনস।
তারপর একজন কৃষ্ণাঙ্গ চিকিৎসক তার স্ফিত উদর দেখে জানতে চেয়েছিলেন, গাসকিনস জরায়ুতে বেড়ে ওঠা ক্যান্সারের ঝুঁকিহীন ফাইব্রয়েডের কথা জানেন কি না?
এর কয়েক মাস পর অপারেশন করে এই তরুণীর জরায়ু থেকে দুই পাউন্ড বা এক কেজির কাছাকাছি ওজনের একটি ফাইব্রয়েড অপসারণ করা হয়।
জরুরি বিভাগে ভুলভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে গাসকিনস বলেন, “আমার মনে হত, তারা আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছে না।
“সবাই দেখেছিল এক কৃষাঙ্গ তরুণীর ফুলে ওঠা পেট। আর তাতে হয়ত ওদের মনে হয়েছিল আমার কোনো যৌন রোগ হয়েছে অথবা আমি অপরিকল্পিত গর্ভধারণ করেছি।”
ধারণা করা হয় ১৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২ কোটি ৬০ লাখ নারী, যারা ফাইব্রয়েডে ভুগছেন, তাদের অর্ধেকেরই এমন স্বাস্থ্য সমস্যা ও উপসর্গ রয়েছে।
এই বিনাইন অর্থ্যাৎ ক্যান্সারের ঝুঁকিহীন টিউমারগুলো জরায়ুর গায়ের পেশী থেকে জন্ম নেয়। ফাইব্রয়েড আকারে তিলের দানার মত হতে পারে; আবার বাড়তে বাড়তে একটি তরমুজের আকারও নিতে পারে।
এ ধরনের টিউমারের কারণে মাসিকের দিনে শরীর থেকে বেশি রক্ত বেরিয়ে যেতে পারে, সেই সঙ্গে পেটে তীব্র ব্যথাও হয়। এছাড়া পেটে গ্যাসের বুদবুদ, কোমরের নিচে ব্যথা, সহবাসে ব্যথা এবং অনেক সময় গর্ভধারণে জটিলতা দেখা দেয়।
ফাইব্রয়েড কেন হয় তার সঠিক কারণ এখনও অজানা। তবে দেখা গেছে, শ্বেতাঙ্গ নারীর চেয়ে কৃষ্ণাঙ্গদের ফাইব্রয়েডের ঝুঁকি দুই থেকে তিন গুণ বেশি। এমনকি কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের কম বয়সেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের বেলায় ফাইব্রয়েড আকারে ও সংখ্যাতেও বেশি হয়।
কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের বেলায় দেখা গেছে, তাদের শারীরিক যন্ত্রণা অবর্ণনীয় হয়ে ওঠে। আর তাতে কর্মজীবন, ব্যক্তিজীবন তো বটেই সামাজিক ও শারীরিক সব ধরনের কাজে ব্যাঘাত ঘটে। তাতে ফাইব্রয়েড আক্রান্ত নারী ভীত হয়ে ওঠেন, অবসাদে আক্রান্ত হন, অসহায় ও একাকী বোধ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র এবং এর বাইরে জাতিগত এবং লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার সঙ্গে ফ্রাইব্রয়েড যন্ত্রণার যোগাযোগ রয়েছে।
“আমরা জানি, ফাইব্রয়েড উপসর্গ দেখা দিলে তা মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে…, বললেন আনিসা ভাইনস।
ইউএনসি গিলিনস স্কুল অফ গ্লোবাল পাবলিক হেলথের এপিডেমিওলজির সহকারী অধ্যাপক ভাইনসের ভাষ্যে, “কালো নারী এবং যারা নারী পরিচয়ে চিহ্নিত নয়- এমন ফাইব্রয়েড আক্রান্ত ব্যক্তিরা ভীষণভাবে এই চাপে ভুগে থাকেন।”
![](https://d30fl32nd2baj9.cloudfront.net/media/2022/01/14/uterine-fibroid-140122-004.jpg/ALTERNATES/w640/uterine-fibroid-140122-004.jpg)
লজ্জা, যন্ত্রণা আর গ্যাসবাতির আলো
ফাইব্রয়েডে আক্রান্ত একজন নারীকে প্রতিদিন কী পরিমাণ জ্বালা-যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, খেউইজি মাগওয়াজার কথায় তা স্পষ্ট।
৪১ বছর বয়সী মাগওয়াজাকে দেখে একজন নার্স সতর্ক করেছিলেন, বলেছিলেন তিনি ভীষণ রক্তাল্পতায় ভুগছেন। মাগওয়াজা কখনও দুর্বল বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন সেই নার্স।
সাত বছর মাসিকে অতিরিক্ত রক্তপাত, রক্তাল্পতার পাশাপাশি ফাইব্রয়েডের কারণে দেখা দেওয়া আরও অনেক উপসর্গ ছিল, প্রতিদিন ট্রেনে চলার পথে ঝিমুনি আসত, ঘোলাটে হয়ে আসত দৃষ্টি। সেসব তখন পাত্তা দেননি।
মাগওয়াজা বলেন, “আমি পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় নেই জানার পরও নিজেকে ঠেলে ঠেলে চলছিলাম। আমি আমার জীবন যাপনে এতটাই অভ্যস্ত ছিল ছিলাম যে ডাক্তারের পরামর্শও মানছিলাম না। অনেক কালো নারীই মনে হয় আমার কথার সাথে নিজেকে মেলাতে পারবেন।“
সুসি ওলুডেলে একজন সেলুন মালিক। ৩১ বছর বয়সী এই নারীকে তার কাজের ক্ষেত্রে রীতিমত তারকা বলা যায়। আফ্রিকার ঐহিত্যবাহী স্টাইলে চুলের বিনুনি করতে তিনি বিশেষভাবে পারদর্শী।
সেই ওলুডেলেও ফাইব্রয়েড নিয়ে দুই বছর ধরে লড়াই করতে করতে নিজের কর্মজীবনেও হতাশ হতে শুরু করলেন।
ব্রুকলিনের বেডফোর্ড-স্টুইভেসান্ট এলাকায় সেলুন চালানো ওলুডেলে বলেন, “যখন আপনি খদ্দেরের চুল সাজানোর কাজ করেন, তখন আপনার মন সতেজ থাকতে হয়। কিন্তু আপনি যদি নিজেই ভালো বোধ না করেন, তাহলে কী করে আরেকজনকে ভালো বোধ করাবেন? ফলে আমার সারা জীবনের অভিজ্ঞতা ক্ষতির মুখে পড়ে গেল।”
অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে থাকা, সেলিব্রিটি খদ্দেরের বাড়িতে গিয়ে কাজ করা সুসি ওলুডেলের পেট আর কোমর ব্যথাকে তীব্র করে তুলছিল। একসময় খাওয়া ও ঘুমানোও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হল তার।
সৈকতে অবকাশ যাপন আর একান্ত সময় কাটানো থেকেও মন উঠে যাচ্ছিল ওলুডেলের। স্ফিত উদর আর ভোগান্তির কারণে নিজের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছিল; শারীরিক চাহিদা নিয়েও নিস্পৃহ হয়ে উঠছিলেন।
কয়েকজন ‘অকাজের’ চিকিৎসককে দেখানো আর দেরি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর কারণে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল তার জীবন। শেষ পর্যন্ত অপারেশন করে ওলুডেলের জরায়ু থেকে ছয়টি ফাইব্রয়েড অপসারণ করা হয়; এর মধ্যে একটি ফাইব্রয়েড আকারে ছিল আঙ্গুরের সমান।
একজন নিবন্ধিত পেশাদার কাউন্সেলর টরি ডিক্সন কাজ করেন উপসর্গ দেখা দেওয়া ফাইব্রয়েড আক্রান্ত কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের নিয়ে।
তিনি বলেন, “ঐতিহাসিকভাবে কালো নারীরা তাদের বেদনা আর অস্বস্তি আড়াল করে রাখতে জানে সবার থেকে। আর যদি কখনও বলেও ফেলে, তাদের অনুভূতি আমলে নেওয়া হয় না, শোনা হয় না। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এমনই ঘটে তাদের সঙ্গে।”
২০২০ সালের অক্টোবরে একটি জরিপ করা হয়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ৭৭৭ জন কৃষ্ণাঙ্গ নারীর মতামত নেওয়া হয়। দেখা যায়, তাদের প্রতি পাঁচ জনে একজন আগের এক বছরে স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন। জরিপে দেখা গেছে, কালো নারীরাই ভোগান্তিতে পড়েছেন বেশি।
এ ধরনের এবং আরো অন্যান্য বৈষম্য শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণ হিসেবে ২০১৩ সালে একটি গবেষণা তুলে ধরা যায়। সেখানে দেখা গিয়েছিল, বৈষম্যের শিকার হওয়ার কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মধ্যে প্যাপ স্মিয়ার অর্থ্যাৎ জরায়ুর ক্যান্সার শনাক্তের পরীক্ষা করানোর হার বেশ কম।
ওই বছর আরেকটি গবেষণায় বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলা উচ্চ রক্তচাপে ভোগা নারীরা চিকিৎসকের দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করতেও অনীহা বোধ করেন।
ব্রকলিনের লেখক এন জামিলা চিশোলম অতিরিক্ত রক্তপাত, রক্তস্বল্পতা ও মাথা ঘোরার সমস্যায় ভুগছিলেন দুই দশক ধরে।
এত বছর ধরে এক শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসককে দেখাচ্ছিলেন ৪৫ বছর বয়সী চিশোলম। ওই চিকিৎসক কোনো সমস্যাই খুঁজে পাননি; তিনি জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি আর ব্যথানাশক ওষুধ খেতে বলতেন।
একজন কৃষ্ণাঙ্গ গাইনোকলজিস্টকে প্রথমবার দেখানোর পর কেঁদে ফেলেছিলেন চিশোলম। ওই চিকিৎসক তাকে বলেছিলেন, “যে জীবন তুমি যাপন করে চলেছ, তা তোমার করার কথা নয়।”
পরে ওই চিকিৎসক চিশোলমের জরায়ু থেকে ফাইব্রয়েড কেটে ফেলে দেন।
“আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, তাহলে আমি পাগল হয়ে যায়নি? তিনি বললেন, না। আমি অবাক হয়েছিলাম; কারণে এর আগে কেউ আমাকে ঠিকমত সাহায্যের হাত বাড়ায়নি”, বললেন চিশোলম।
![](https://d30fl32nd2baj9.cloudfront.net/media/2022/01/14/uterine-fibroid-140122-003.jpg/ALTERNATES/w640/uterine-fibroid-140122-003.jpg)
কুসংস্কার ভেঙে ফেলে সহায়তা চাওয়া
ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান মেডিকেল স্কুলের রিপ্রডাকটিভ এনডোক্রাইনোলজি এবং ইনফার্টিলিটি বিভাগের প্রধান এরিকা মার্শ বলেন, চিকিৎসকরা তাদের কথা শুনছেন না এমন ধারণা কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়।
ডিক্সনের ভাষ্যে, সামাজিক ও ব্যক্তিগত সমস্যায় নিজেকে সর্বংসহা প্রমাণের চেষ্টাও দেখা যায় কৃষাঙ্গ নারীদের অনেকের মধ্যে।
“যখন এটি প্রজনন সম্পর্কিত, তখন অনেক সময় নিজেই নিজেকে অথবা অপর কেউ এসে ভাবতে শেখায়- যা তোমাকে ভোগাচ্ছে তা আসলে তেমন গুরুতর কিছু নয়।”
কালো নারীর জন্য কিছু উপমারও প্রয়োগ রয়েছে; যেমন- ’শক্তিশালী সেরা কৃষাঙ্গ নারী’, ‘জাদুকরি কালো কন্যা’। এসবের ব্যবহার বাড়তে থাকাটাও ক্ষতিকর হতে পারে।
ডিক্সন বলেন, “আমাদের এমন কিছু বিশেষণ রয়েছে যা কাউকে সর্বশ্রেষ্ঠ বানিয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে এর দরকারও আছে; যেমন কালো নারীদের অগ্রযাত্রায়।
“তবে এইসব কুসংস্কার ভেঙে ফেলতে কখন ও কীভাবে ‘না’ বলতে হয় তা শিখতে হবে। নিখুঁত হয়ে ওঠার চেয়ে নিজের প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে। নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করার রুটিন সাজাতে হবে।”
“সহায়তা চাওয়াটাও খুব জরুরি”, বললেন তিনি।
ফাইব্রয়েডের কারণে শরীর ও মনে যে প্রভাব পড়েছে, তার লক্ষণ চিনতে শিখতে হবে। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কী সামাজিক ও পছন্দের বিষয়গুলো আর আগের মত নেই? আপনি কি ভারাক্রান্ত ও বিষাদগ্রস্ত? ঘুমে সমস্যা হচ্ছে? ছোটোখাট কারণেই কেঁদে ফেলছেন? হজমে সমস্যা দেখা দিচ্ছে? ওজনে? কিংবা আত্মহত্যার কথা মনে আসছে কি?
“যদি এমন ঘটে থাকে, তবে এখনই একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার কথা ভাবতে হবে আপনাকে”, বলেন ডিক্সন।
থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হয়ে জীবন পাল্টে গিয়েছিল টানিকা গ্রে ভালব্রুনের। এখন ৪৩ বছর বয়সী এই সাংবাদিকের জরায়ুতে যখন ফাইব্রয়েড ধরা পড়ে, তখন তার বয়স ২৫। ফাইব্রয়েড হওয়ার কথা কাউকে বলার লজ্জা কাটাতে কাউন্সেলিং কাজে দিয়েছিল তার বেলায়।
টানিকা গ্রে ভালরুন খেয়াল করে দেখেছিলেন, কৃষাঙ্গ সমাজে কিছু প্রাচীন ধারণা রয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ছিল তার জ্যামাইকান মায়ের বারণ; ফাইব্রয়েড নিয়ে লোকজনকে বলাবলি করা যাবে না।
“মাকে দোষ দদিই না আমি। কারণ তিনি আমাকে তাই শেখাচ্ছেন যা তাকে শেখানো হয়েছিল। যদিও কোথাও না কোথাও তো আমাদের এই ধারণাকে ভাঙতে হবেই,” বলেন ভালরুন।
বন্ধু, পরিবার- ভালোবাসার মানুষ, যারা আপনার শারীরিক ও মানসিক কষ্টটা বোঝে, তারাই এই সময়ের নেতিবাচক ভাবনা কাটিয়ে উঠতে অনেক বেশি সহায়তা করতে পারেন। আর তাতে কিছুটা ভালো বোধ হবে।
ভালব্রুন বলেন, “তোমার সেই মানুষটিকে দরকার, যখন ডাক্তারের চেম্বার থেকে বার হয়ে তোমার মনে হবে তুমি কখনও সন্তান ধারণ করতে পারবে না, তোমার বন্ধুটি বলবে, কোনো চিন্তা করো না মেয়ে; ডাক্তার তা বলেননি… বরং তিনি বলেছেন আমাদের এইসব এক্স-ওয়াই-জেড করতে হবে।”
এর সঙ্গে এরিকা মার্শ যোগ করেন, “স্বাস্থ্যসেবা যিনি দেবেন, রোগীর কাছে চিকিৎসার সবরকম বিকল্প নিয়ে খোলামেলা আলাপ করাটাও তার জন্য জরুরি; যা অনেক সময়ই তারা করেন না।”
চিকিৎসক কোন পদ্ধতিতে কী চিকিৎসার পরিকল্পনা করছেন, রোগী তা জানতে চাইতে পারেন। তাতে জানা দরকার- এমন প্রশ্নগুলো পরের সাক্ষাতের আগে গুছিয়ে নিতে পারবেন; এমনকি চিকিৎসার অন্য বিকল নিয়েও ভেবে দেখার অবকাশ থাকবে।
ফাইব্রয়েড রোগী ও চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ফাইব্রয়েড ফাউন্ডেশন’ অথবা ‘দ্য হোয়াইট ড্রেস প্রজেক্ট’ (ভালব্রুন প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক সংগঠন; যা তিনি নিজের ফাইব্রয়েড অপসারণের পরপরই করেছিলেন) বা এমন কোনো সংগঠন ও সংস্থা খুঁজে বার করা গেলে সেখানে নিজের সমস্যা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলার সুযোগ মিলবে।
এছাড়া কারা যত্নের সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন, কোথায় এ নিয়ে শিক্ষা-সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণ হচ্ছে সেসবও খোঁজ নিয়ে দেখা যায়।
ডিক্সন জোর দিয়েই বলেন, জরায়ুতে ফাইব্রয়েড মানে জীবনকে ধ্বংস করে দেওয়া নয়। বরং আলাপ-আলোচনা করলে নিজের জন্য ও অন্যের জন্যও আশার আলোর দেখা মিলবে।
“আমি বেশ স্পষ্ট করেই বলতে চাই, আশা আছে। এটা অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার মত কোনো পরিস্থিতি নয়।”
সূত্র: The New York Times Company
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।